ঠাণ্ডায় জবুথবু কুড়িগ্রামের জনপদ

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৩

সাহস ডেস্ক

শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি)  সকাল থেকে সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। কষ্টে দিন কাটছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।  জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস 

ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকন ঠাণ্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আরমান আলী জানান, এই ঠাণ্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার উপর পানিতে নামিয়ে চারা লাগানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক আলম মিয়া জানান, গত কয়কদিন রাতের বেলা ঠাণ্ডা বেশি থাকলেও দিনের বেলায় তেমন ঠাণ্ডা ছিল না। এখন যে অবস্থা তাতে গরম জামা কাপড় গায়ে লাগিয়ে রিকসা নিয়ে বেড়িয়েছি। ঠাণ্ডায় থাকা যাচ্ছে না। শিরশির বাতাস জামা-কাপড় ভেদ করে ভিতরে ঢুকছে।

কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বাড়ছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীত জনিত রোগ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ ০৪ জানুয়ারি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। 

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯ উপজেলায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকার কম্বল কেনা হয়েছে। সেগুলোও কোনো কোনো জায়গায় বিতরণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত