আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক: আইনমন্ত্রী

কোনো যোগাযোগ ছাড়াই হঠাৎ করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়েই এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৬তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, তাদের একটা কর্তব্য থাকে, সেটা হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাদের আত্মপক্ষ বক্তব্য শোনার।

তিনি বলেন, আমি এটাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, যেসব দোষে র‌্যাব বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে দোষী করা হয়েছে, তা ঠিক নয় এবং এটা কল্পনাপ্রসূত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়নি।

১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন আসামি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুদিন আগে তার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে তিনি ওই দুজনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক দাবি করতে বলেছেন। আইনমন্ত্রী জানান, ওই দুজনকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক দাবি জানানো হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে এক সাংবাদিক আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, দেখবেন।