ডা. মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে না দেওয়ায় যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে না দেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুরাদ হাসানকে কেন কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হলো না, সে বিষয়ে কিছু জানি না আমরা। না জেনে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে আজ ভোর থেকেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে।

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক র‌্যাবের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগে দেখে নেই। কী উদ্দেশে করেছেন, কেন করেছেন তা আমরা দেখে নেই।’

ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি বরং টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি।

কানাডার স্থানীয় বাংলা অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ডা. মুরাদ হাসান আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সূত্রের দাবি, তিনি টরেন্টোতে ঢুকতে না পেরে মন্ট্রিয়ালে চলে গেছেন। সেখানেই অবস্থান করছেন। মন্ট্রিয়াল কানাডার কুইবেক প্রদেশের বৃহত্তম এবং উত্তর আমেরিকার নবম বৃহত্তম শহর।

মুরাদকে কেন কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি প্রসঙ্গে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া তার সাম্প্রতিক অশোভন বক্তব্যের কারণে বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিক অসন্তুষ্ট। কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তারা। তাই কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

নারীর প্রতি অশোভন ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ। ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশ্য তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।