চাড়ালকাটা জলাধার নির্মাণ ও নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজের উদ্বোধন

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ২৩:০৩

সাহস ডেস্ক

চাড়ালকাটা জলাধার নির্মাণ ও লুপ-কাটিং এর উজানে প্রতিরক্ষামূলক কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। ২৪ নভেম্বর (বুধবার) চাড়ালকাটা নদী সোজাকরণ ও বুড়িতিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ কাজটির উদ্বোধনের সময় জেলা প্রশাসন ও পানি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বুড়িতিস্তা নদীর ১৩ কিলোমিটার পুনঃখনন, চাড়ালকাটা নদীতে লুপ-কাট খনন ৭৫০ মিটার, চাড়ালকাটা নদীতে ক্লোজার নির্মাণ ৮৫ মিটার, নদীর তীর সংরক্ষণ ৩ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার, ৫৫ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণ, একটি ড্রপ স্ট্রাকচার নির্মাণ, নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ১ দশমিক ১৮ কিলোমিটার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত ও পুনরাকৃতিকরণ ২৫ কিলোমিটার এবং জমি অধিগ্রহণ ১৩ একর।

২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সপ্তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নীলফামারী জেলার চাড়ালকাটা নদী সোজাকরণ এবং বুড়িতিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণে ১৪৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

বাপাউবো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদীটি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে নীলফামারী ও রংপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দিনাজপুর জেলার করতোয়া নদীতে পতিত হয়েছে। নদীটি সর্পিলাকার ও দৈর্ঘ্যে প্রায় ১১৬ কিলোমিটার। নদীটি নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাছে একটি বড় লুপের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী বাজার, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, গ্রামগঞ্জ, রাস্তা, কবরস্থান ইত্যাদি নদী ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে বুড়িতিস্তা নদীর উভয় তীরে ১৯৮০ থেকে ১৯৮১ সালে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি দীর্ঘ দিন যাবত মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধটির কার্যকারিতা হুমকির সম্মুখীন। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৮ সালে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছিলো যা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এই প্রকল্পটি পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার আশা করছে বাপাউবো।

সাহস২৪.কম/এসএ.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত