‘টিকা উৎপাদনে ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে’

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৪:৫০

সাহস ডেস্ক

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকা আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সরকারের আছে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি সংসদে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সাংসদ মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদের রীতি অনুযায়ী শোকপ্রস্তাব গ্রহণের পর সংসদে আজকের বৈঠক মুলতবি করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে টিকা নিয়ে অধিকতর গবেষণা ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং টিকা নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ২০১৫-২০ সময়ে এসডিজি অর্জনে সর্বোচ্চ সাফল্যের জন্য আমাকে এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদানকালে করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমাকে “জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন” বলে অভিহিত করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকোচন, টিকাবৈষম্য প্রভৃতি বিশ্বের অনেক দেশেরই উন্নয়ন–অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। কিন্তু এই মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে, এ পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। এই পুরস্কার শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নয়ন–অগ্রযাত্রাকে যেমন বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে, তেমনি বাংলাদেশের সক্ষমতার ওপর বিশ্ববাসীর আস্থা দৃঢ়তর করেছে। বাংলাদেশের জনগণই এই পুরস্কারের প্রকৃত অংশীদার। স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজকের যত অর্জন, সবই হয়েছে দেশের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই পদক দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন।

পদ্মা সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৮৮.৭৫%
জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভায়াডাক্টসহ ৯.৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজ ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর হবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত হবে, যা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে যথাসময়ে সাবওয়ে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

সাহস২৪.কম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত