অদৃশ্য ইশারায় রাজধানীতে বাস সংকট, দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৩:০৪

অনলাইন ডেস্ক

হঠাৎ করে জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার পর কোন রকম ঘোষণা ছাড়াই অদৃশ্য ইশারায় গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় বাস মালিকরা। সময় গড়িয়ে মালিক পক্ষের দাবী মেনে বৃদ্ধি করা হয় গণপরিবহনের ভাড়া। এরপর  ১৪ নভেম্বর (রবিবার) থেকে রাজধানীতে কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেটলক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। কয়েকদিন পার হলেও এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বরং নতুন করে সিটিং সার্ভিস নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি বাস। অপরদিকে গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীদের অভিযোগ সিটিং সার্ভিসের নামে তাদের পকেট কাটা হচ্ছে। 

এ নিয়ে গতকাল  মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও চালকরা। এরই জেরে ওইদিন দুপুর ২টার পর থেকে মিরপুর এলাকায় সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। যার রেশ আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনে গড়াচ্ছে।

রাজধানীর মিরপুর থেকে আজও বিভিন্ন রুটের বাস সংকট দেখা গেছে। এতে দিনের শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মব্যস্ত শহরের বাসিন্দাদের। উপায় না থাকায় অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়। আবার অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

সকালে মিরপুর-১২, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১সহ কালশী ও ইসিবি চত্বর এলাকায় বাস চলাচল কম দেখা যায়। এ ছাড়া শাহবাগ, ফার্মগেট, বিমানবন্দর ও আবদুল্লাহপুরেও বাস সংকটের জন্য যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়েন। মিরপুর থেকে উত্তরা রুটে বাসের দেখা মিললেও বাড্ডা, নতুন বাজার রুটের কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সকাল সোয়া ৬টা নাগাদ মিরপুর সাড়ে ১১ ও ১২ নাম্বার এলাকায় দেখা যায়, পরিস্থান পরিবহনের উত্তরা রুটের কয়েকটি গাড়ি চলছে। তবে তা এক ট্রিপ দিয়েই শেষ করবে বলে জানান একটি গাড়ির কন্ডাকটর। 

এদিকে হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি চললেও তাতে বাধা দিচ্ছেন বন্ধ রাখা অন্য পরিবহনের শ্রমিকরা। যে কারণে ঝামেলা এড়াতে সকালে কয়েকটি গাড়িকে নির্ধারিত পথ পরিহার করে চালক বিভিন্ন গলি দিয়ে নিয়ে এসেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, মালিকপক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধ করার বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরেই আমাদের স্টাফরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।  তবে সাধারণ যাত্রীরা মনে করছেন এটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাস মালিকদের নতুন কোন চক্রান্ত। যাতে করে সাধারণ যাত্রীদের উপর তারা যে কোন বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে।

সাহস২৪.কম/এমআর