শান্তিরক্ষায় তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৮:১৮

সাহস ডেস্ক

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশের অনেক দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না। ঘরে ঘরে যে জনগণ আছে তারা যদি তাৎক্ষণিক ইনফরমেশন দিতে পারে, তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না।

দেশে সাইবার অপরাধ যেভাবে উন্মোচিত হচ্ছে- তা ধারণার বাইরে বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে আমরা সেভাবেই আমাদের পুলিশকে তৈরি করছি।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১’ এর উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশ ধীরে ধীরে জনতার পুলিশ হয়ে উঠছে। করোনার প্রথম সময়ে আমরা দেখেছি, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ছেলে তাদের মরদেহ ভয়ে নিয়ে যাচ্ছে না দাফনের জন্য৷ কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তখন এগিয়ে এসেছে। দায়িত্ব নিয়ে এসব মরদেহের দাফন সম্পন্ন করেছে। করোনায় ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু পুলিশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ পুলিশ ধীরে ধীরে সেই জায়গাটিতে যাচ্ছে। পুলিশ দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল বলেই দেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কমিউনিটি পুলিশের আইডিয়াটাও একই রকম। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই- তা রুখে দিতে পারে। সেজন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরও বড় আকারে করার তাগিদ দিয়ে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে সাইবার ইউনিট আমরা করেছি। কিন্তু সেটা ছোট আকারে আছে। সাইবার ইউনিট বড় আকারে করতে হবে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। অনেক অনেক দূর পথ হেঁটে যেতে হবে। টেকনোলোজির ব্যবহার ভালো দিকও আছে আবার খারাপ দিকও আছে। তবে আমাদের ভালো দিকটা বেছে নিতে হবে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতিসম্প্রতি যে ধরনের উসকানি আসছিল, যেভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে একটা ভায়োলেন্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, সেটাও কিন্তু আমাদের জনগণ ও পুলিশ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করেছে। আমরা সেই জায়গা থেকে নিস্তার পেয়েছি। একটা বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারত!

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা সবাই ধর্মভীরু। আমরা যে যার ধর্ম হৃদয় দিয়ে পালন করি, সেখানে আঘাত এসেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে আমরা বের করে নিয়ে এসেছি। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, জনগণও তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত