স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৪৯

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ বছর দেশে বিকৃত ইতিহাস শেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন সারা দেশে বেরিকেড দেওয়া হয়, তখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সেনাদের হয়ে বেরিকেড দেওয়া লোকদের ওপর গুলি চালায়। এরপর সে গেলো সোয়াদ জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে। সেখানে পাবলিক ঘেরাও দিয়ে তাকে আটকালো।

স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লো। সংগ্রাম পরিষদের নেতারা ঘোষণা সংগ্রহ করে সারা দেশে প্রচার করে দিলো। চট্টগ্রামে সেটা প্রচার হলো। ২৬ মার্চ দুপুর ২টা থেকে প্রথমে আমাদের হান্নান সাহেব একের পর এক জাতির পিতার ওই ঘোষণাপত্র পাঠ করতে থাকেন। জহুর সাহেব বললেন, একজন আর্মির লোক ডেকে নিয়ে আসো। তাহলে যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হবে। তখন মেজর রফিক সাহেবের কাছে যাওয়া হলো। উনি অ্যাম্বুসে ছিলেন। সরে গেলে পাকিস্তানি আর্মি ঢুকে পড়বে। এজন্য অন্য কাউকে খুঁজতে বললেন। জিয়াকে কিন্তু তখন পাবলিক অ্যারেস্ট করছে-সোয়াদ জাহাজে যেতে দেবে না। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ওই দিন জিয়াউর রহমান কিন্তু কোনো ঘোষণা দেয়নি। ওই দিন দুপুর ২টা থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন। তাকে (জিয়াকে) যখন নিয়ে আসে, ২৭ তারিখ সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান ওই ঘোষণাটা পাঠ করেন। যখন জিয়াউর রহমানকে ঘোষক বলা হতো-তখন এই সংসদে প্রশ্ন উঠলো ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। তাহলে উনি ২৭ তারিখ ঘোষণা দেয় কী করে? পরে ইতিহাস এমনভাবে বিকৃত করে যে, সেই ২৭ তারিখকে তারা ২৬ তারিখ বানিয়ে ফেললো। অথচ ২৬ মার্চ জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিল। তাহলে কী করে ঘোষণা দিলো?

শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার সমস্ত ব্যবস্থা করে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেখানে একজন মেজর একখানা ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে একটা বক্তব্য দিলেন আর দেশ স্বাধীন হলে গেলো? সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো? এটা হয়?

উর্দু খুব পছন্দের ছিল জিয়ার উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, জিয়াউর রহমান একজন মেজর ছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে দ্রুত প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে জিয়া মেজর জেনালের হতে পারতো? কারণ তার বাবা-মা পাকিস্তানে মাইগ্রেট করে। জিয়াউর রহমান ওখানেই আর্মিতে ঢোকে। তার পোস্টিং হয় আমাদের দেশে। সে ভালো করে বাংলাও বলতে পারতো না। উর্দু খুব পছন্দের ছিল তার।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, চট্টগ্রামে যে ক্যান্টনমেন্টে ছিল জিয়াউর রহমান, সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যার কারণে সেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেই গণকবর ভাটিয়ারিতে আছে। সে সঠিক সিদ্ধান্ত দিলে আমাদের সৈনিকরা ব্যবস্থা নিতে পারতো।

সাহস২৪.কম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত