দেশে ফিরলেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০ বাংলাদেশী

অবৈধ পন্থায় ইউরোপে অভিবাসনের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবার ইউরোপে যাওয়ার সময় আরও ৩০ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়েছে ভূমধ্যসাগর থেকে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরেই দেশে ফিরেছেন তারা।

দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান তারা। বর্তমানে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার, পানি সহায়তা করা হয়।

ফেরত আসা অভিবাসী প্রত্যাশীরা জানান, এই বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে যান দুবাই। এরপর লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পর উদ্ধার করা হয় তাদের।

ফেরত বাংলাদেশীরা হলেন-শরীয়তপুরের ৭ জন, মাদারীপুরের ৬ জন, গোপালগঞ্জের ৪ জন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ ও সিলেটের ২ জন করে এবং কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার একজন করে রয়েছেন।

ব্র্যাক সূত্র জানায়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশীদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশী এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন।

আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশী। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

ইউরোপে বাংলাদেশী অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংকট এতটা বেড়েছে যে, বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাংলাদেশীদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষর করে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ বাংলাদেশী একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন আরও অনেক বাংলাদেশী।

সাহস২৪.কম/এসটি/জিজি