সিরাজগঞ্জে বন্যা কবলিত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২১, ১০:৪৩

সাহস ডেস্ক

গত কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, রবিবার (২৯ আগস্ট) ভোর ছয়টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮ মিটার। শনিবার (২৮ আগস্ট) ভোর ছয়টায় এই পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৩ দশমিক ৬০ মিটার। যমুনায় ২৪ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ সেন্টিমিটার।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) রফিকুল ইসলাম  জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলের অনেক কাঁচাপাকা রাস্তাঘাট যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল। বিশেষ করে চৌহালী, শাহজাদপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ সহায়তা বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যেই বন্যা কবলিত জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম রওশন কবীর বলেন, যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দ্রুত বরাদ্দকৃত ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্থদের নিকট পৌঁছাবে।

সাহস২৪.কম/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত