ঈদের পর শিল্পকলকারখানা বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন: প্রতিমন্ত্রী

ঈদের পর আসছে কঠোর থেকে কঠোরতর লকডাউন। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব শিল্পকলকারখানা বন্ধ রেখে চলবে কঠোর বিধিনিষেধ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) আয়োজিত ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

দেশের লকডাউন শিথিল প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোরবানিকে ঘিরে আমাদের একটি বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সব কিছু বিবেচনা করে বিধি-নিষেধ শিথিল করতে হয়েছে। তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি এবং তাদের পরামর্শগুলো খুবই উপযোগী। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত তারা দেয়। কিন্তু একটি জিনিস পরিষ্কার।

তিনি বলেন, আমরা যত দিন পরিপূর্ণভাবে ভ্যাকসিন নিতে না পারছি, তত দিন মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরলে পরিস্থিতি যতটা নিয়ন্ত্রণ হবে, ততটাই দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। যখনই একটি মানুষ আক্রান্ত হবে, তার পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার যে টাকা স্কুল-রাস্তা বা অন্য উন্নয়নকাজে খরচ করতে পারত, সেই টাকা খরচ হচ্ছে কেবল মাস্ক না পরার কারণে। সে জন্য সবাইকে করোনার ঊর্ধ্বগতি টেনে ধরতে চেষ্টা করতে হবে। ঈদের পর ১৪ দিন যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কঠোর লকডাউন চলাকালে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

বিজিবি-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, বিজিবির যশোর রিজিওনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।