সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

নিহতদের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ২০:২৬

সাহস ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জন্য ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসা এবং কর্মস্থানের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আজ রবিবার দুপুরে রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ। 

জাফরুল্লাহ বলেন, 'যারা আমাদের জীবনটাকে চলমান রাখে, যারা রাষ্ট্রকে চালু রাখে, তাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদা না দিলে, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, যা হবার তাই হয়েছে। ফলে এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এটাকে যেন মনে হয় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যদিও হত্যা করেনি কেউ। সার্বিকভাবে এটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকারের একটি শিল্প বিভাগ আছে, তাদের পরিদর্শকরা এসে প্রতিনিয়ত দেখার কথা। এখানে তারা পা দিলেই বুঝতে পারত কোথায় কোথায় ঝুঁকি আছে। কেমিকেল কোথায় রাখা যাবে তার নিয়ম থাকলেও এখানে এর একটিও মেনে চলা হয়নি। দুর্নীতির ফলে পরিদর্শন না করে তারা রিপোর্ট দেয়।'

তিনি বলেন, 'ম্যানেজার সাহেব ভেবেছে এক জায়গায় শ্রমিকদের নিয়ে এসে দরজা বন্ধ করলে হয়তো আগুন থামানো যায়, যায় না। ফলে ভালো করতে গিয়ে খারাপের অংশীদার হয়ে তিনি নিজেও জীবন দিয়েছেন।'

আরও বলেন, 'এই যে প্রতিবছর যেভাবে মৃত্যু ঘটছে, অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, মগবাজার, তাজরীন, কোথায় না? একটা ঘটনা না। আমাদের নিজেদেকে ক্ষমা করার, এ সরকার ক্ষমা পাওয়ার উপায় নেই। আমি মনে করি ন্যায় নীতি না থাকলে, শিল্পকারখানার নিয়ম না মানলে এখানে এটা থামবে না। আমাদের সবার জন্য দুঃখ আছে। জাতির জন্য দুর্ভোগ আছে। এতোগুলো জীবন গেলে এর মূল্য কে দেবে? এর দায় সরকারের, এটা সরকারের ব্যর্থতা। আরেকটা কারণ হলো, সরকার নির্বাচিত না হলে তাদের জনগণের প্রতি দায়-দায়িত্ব থাকে না। তারা সেটাকে দায়িত্বের মধ্যে আনে না।'

হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, 'আমরা সম্মিলিতভাবে দাবি করছি যারা মারা গেছে তাদেরকে অন্তত ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। যারা বেঁচে আছে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মক্ষম করে তুলতে হবে। তাদের কাজ দিতে হবে।'

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্র চিন্তার আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, মো. ফরিদ উদ্দিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত