নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানার আগুন ৩৯ ঘণ্টা পর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২১, ১৩:৫৭

সাহস ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের সেজান জুসের কারখানার আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলার কারণে ভবনের পঞ্চম তলার ছাদের একটি অংশ ধসে পড়েছে। ফলে সার্ভিসের কর্মীদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকাল থেকে শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভির কর্মীরা টানা চেষ্টা চালিয়ে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী বলেন, ছয়তলা ভবনে মালামাল রক্ষিত ছিল। বিপুল পণ্য থাকার কারণে ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেই আগুন নিভিয়ে ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন। পাঁচ তলায় ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ায় ছয় তলায় আমাদের কাজ করতে হচ্ছে খুব ঝুঁকির মধ্যে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) ও তদন্ত কমিটির প্রধান লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ ও প্লাস্টিক, ফয়েল কাগজ, কার্টুনসহ বিভিন্ন মালামাল থাকার কারণেই আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এজন্য অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভবনটি নির্মাণে ত্রুটি ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তারা ভবনটিতে অসংখ্য পুড়ে যাওয়া মরদেহ দেখতে পান। পরে একে একে ৫২টি মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আহতদের একজন আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে লাফিয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আমরা আহত হয়েছি। কারখানার ভিতরে সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন বলেন, প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে সেজান জুসের কারখানায় আগুন লেগেছে। তবে আসলে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত