স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফোন ধরেন না, সংসদে জিএম কাদেরের অভিযোগ

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ১৮:৪১

সাহস ডেস্ক

নিজ নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটের স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থা তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, এসবের সমাধানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ফোন করেও পাননি তিনি। শুধু ফোনই নয়, চিঠি দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উত্তর দেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলের উপনেতা এসব অভিযোগ করেন।

জিএম কাদের বলেন, সদর হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি পদে পদাধিকার বলে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা সঠিকভাবে কাজ করেন না বলে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন হচ্ছে না- এ মন্তব্যটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেছেন। এ কথাটার কারণে মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বলেন, যাদের এভাবে সভাপতি করা হয় তাদের কোনো সুনিদির্ষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয় না। তারা নিজ উদ্যোগ হাসপাতালের সমস্যা নির্ধারণ করেন এবং সমাধানের প্রচেষ্টা করেন। স্বাস্থ্যসেবা কমিটিকে কোনো ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। নিয়ম, আইন বা অর্থ বরাদ্দ এমন কিছুই থাকে না যাতে করে তারা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেন। প্রায় সময় সিদ্ধান্তকে বাস্তবে রূপ দিতে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন পড়ে। ফলে, তাদের প্রধান কাজ হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সরাসরি মন্ত্রীকে খুশি করে কাজটি বাস্তবায়ন করা। কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সহযোগিতা পাওয়া যায় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, টেলিফোন করলে তারা ধরেন না। আমি মাননীয় মন্ত্রীকে ছয়-সাতবার টেলিফোন করেছি। উনি টেলিফোন ধরেন না। এরকম ব্যবহার পেয়েছি। পত্র দিলে কোনো উত্তর বা সমাধান মেলে না। সংসদ সদস্যরা অনেকেই তখন বাধ্য হয়ে সমাধানের লক্ষ্যে বিষয়গুলো সংসদে তুলে ধরেন। যদিও এরপর সমাধান তেমন একটা পাওয়া যায় না।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিনের পানি বিশুদ্ধিকরণ অংশটি নষ্ট ছিল দীর্ঘ প্রায় আট মাস। ফলে ২৫টি ডায়ালাইসিস মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় ৬ লাখ টাকা দান উঠিয়ে এটা মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫টির মধ্যে ১০টি কাজ করছে না। বার বার মন্ত্রণালয়ে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় দুই থেকে তিন মাস আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে সচিব মহোদয়কে মেরামতের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কোন কাজ হয়নি।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের মধ্যে ২টি নষ্ট, ইসিজি মেশিন আছে ৪টি, তার মধ্যে নষ্ট ২টি, ডায়াথার্মি মেশিন ৬টির মধ্যে নষ্ট ৫টি, ওটি লাইট ২টির মধ্যে নষ্ট ১টি, ডেলিভারি টেবিল ২টির ১টি নষ্ট, ওটি টেবিল ৬টির মধ্যে নষ্ট ৪টি, সাকার মেশিন ৫টির মধ্যে নষ্ট ৪টি। এছাড়া ১টি এনালাইজার মেশিন (সেমি অটো) ও ১টি সেন্ট্রি ফিউজ থাকলেও দুটিই নষ্ট।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত