যেকোনো সময় ‘শাটডাউনের’ সিদ্ধান্ত: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২১, ২০:৪৩

সাহস ডেস্ক

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ জারির সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি। এই সুপারিশকে যৌক্তিক মনে করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারেরও এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেলে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সংক্রমণটা ঊর্ধ্বমুখী, দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকার পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে যেটি উপযুক্ত হবে, সেই সিদ্ধান্তই আমরা নেব।

তিনি বলেন, আগে আমাদের সংক্রমণ ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখনো অনেক জায়গা আছে যেখানে সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে। ইতোমধ্যে ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে কঠোর বিধিনিষিধে দিয়েছি। তারপরও ঢাকার মধ্যে লোকজন এসে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাস, ট্রেন, যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করেই কিন্তু আমরা এ সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সংক্রমণ কমাতে পদক্ষেপ নিতে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। সেই অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত নেয়া উপযুক্ত এবং সঠিক হবে, সেটা আমরা নেব।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে যে, দেশে করোনা সংক্রকমণ বেড়ে যাওয়া আগামী ১৪ দিন শাট ডাউন দেয়ার। আগের দিন বুধবার রাতে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

কমিটির সুপারিশের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যেহেতু করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সে জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় সেটি চলছে। সেখানে তা কার্যকরও হচ্ছে। ঢাকার চারপাশের সাত জেলাতেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকার কিছুদিন ধরেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখন জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে সুপারিশ করেছে, সেটি যৌক্তিক। সরকারেরও ইতিমধ্যে এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারও কঠোর বিধিনিষেধের চিন্তা-ভাবনা করছে। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে।

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮১ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেছে ১৩ হাজার ৮৬৮ জন।

দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও আট দফা বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও বিভিন্ন এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত