ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদলের নেতা

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২১, ১৪:৫১

অনলাইন ডেস্ক

সদ্য ঘোষিত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছাত্রদলের এক নেতার জায়গা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত রায়হান রনি নামের ওই নেতা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থেকেই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন।

রায়হান রনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার আলফাডাঙ্গা মৌজা এলাকায় বসবাস করেন। পড়াশোনা করেছেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।

ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে গত ২৩ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান ২১ সদস্যবিশিষ্ট আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। ওই কমিটির একজন আহ্বায়ক, ৯ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, একজন সদস্যসচিব এবং বাকি সবাই সদস্য। ঘোষিত ওই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছে রায়হান রনির নাম।

এ দিকে ১২ জুন আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে আংশিক কমিটি অনুমোদন করা হয়। ঘোষিত ওই পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছে মোহাম্মদ রায়হান রনির নাম।

স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রদলের রায়হান রনি ও ছাত্রলীগের মোহাম্মদ রায়হান রনি একই ব্যক্তি। এ বিষয়ে মোহাম্মদ রায়হান রনি জানান, ছাত্রদলের রায়হান রনি আর তিনি এক ব্যক্তি না। তিনি আজীবন ছাত্রলীগ করেছেন, ছাত্রদল তিনি করেননি। ছাত্রদলের রায়হান রনিকে তিনি চিনেনও না।

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদুল রশীদ রিয়ান জানান, তার জানা মতে ছাত্রদলের রায়হান রনি আর ছাত্রলীগের রায়হান রনি এক ব্যক্তি না। তারপরও কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে এই দুই রনি এক জনই তাহলে রায়হান রনির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রলীগে কোনও বিতর্কিত লোকের স্থান হবে না এমন কি অন্য যেকোনও রাজনৈতিক সংগঠন করে ছাত্রলীগে আসা যাবে না।

এই বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, জেলা থেকে কখন কী কমিটি ঘোষণা করে, আমাদের থেকে মতামত বা পরামর্শও নেয় না। ছাত্রলীগের এই কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রেও আমার কাছ থেকে কোনও পরামর্শ নেয়া হয়নি। এখন শুনছি ছাত্রদলের এক নেতা কমিটির বড় পদ পেয়েছেন। আমি বলবো যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু ছাত্রলীগের নেতাদের উচিত হবে অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

এদিকে জেলা ছাত্রদল জানিয়েছে, ছাত্রদলের নেতার ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়ার ঘটনায় তদন্ত করছে জেলা ছাত্রদল।