সুন্দরবনের আয়তন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২১, ১৫:৫০

সাহস ডেস্ক

সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এ বনের বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কার্বন মজুদ পাওয়া যাচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালে বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিলো ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এর সংখ্যা ১১৪টি পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের বেগম সুলতানা নাদিরার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের কার্বন মজুদের পরিমান ২০০৯ সালের ১০৬ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে। বর্তমান সরকার সুন্দরবন ও এর জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে সব সময় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর।

সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপেই নেওয়া হোক না কেন সুন্দরবন এবং এর জীব-বৈচিত্র্য যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সুন্দরবনের বৃক্ষাদি এবং বন্য প্রাণী রক্ষার জন্য তথা বন অপরাধ দমনের জন্য স্মার্ট পেট্রোলিংসহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, জীব-বৈচিত্র্যের ভরপুর সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্য প্রাণী পাওয়া যায়। বন্য প্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ১৫০ ফুট উঁচু গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। যশোরের রাজগঞ্জ বাজারে ও ফরিদপুরের আম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার মিন্টু রোড ও আব্দুল গণি রোডস্থ ভবনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ছিলো বিধায় সেগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের যেসব স্থানে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ স্মৃতি বিজড়িত ওই সব স্থান ঘটনার তাৎপর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় স্মৃতি স্বরূপ সংরক্ষণ করা হলে তরুণ ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত