তিনজন নারী সঙ্গী নিয়ে উত্তরায় লুকিয়ে ছিলেন নাসির

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২১, ১৮:৩৬

সাহস ডেস্ক

ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বাসাটি আরেক আসামি অমির ভাড়া করা বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৪ জুন) সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি।

গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর-তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা) এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এটা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে নাসির তার তিনজন নারী সঙ্গী নিয়ে এই বাসায় নাসির পালিয়ে ছিলেন। মাদক রাখার অভিযোগে সেই তিনজনকেও আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

এদিকে, নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমি বুধবার (৯ জুন) রাতে যখন ক্লাব থেকে বের হচ্ছিলাম তখন তারা (পরীমণি ও তার বন্ধু) ক্লাবে ঢোকে। তারা তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তাদের মধ্যে একটি ছেলে উশৃঙ্খল ছিল। ক্লাবে ঢোকার পর আমাদের বারের কাউন্টার থেকে বড় বড় ও দামি ড্রিংকসের বোতল জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে বলি, আপনারা ড্রিংকসগুলা নিতে পারেন না। আমি তাদের বাধা দিই। আমি বলি, এটা শুধুমাত্র ক্লাবের মেম্বারদের জন্য। এখান থেকে মদ নিতে হলে তোমাদের কোনো সদস্যের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে নিতে হবে। তারপর আমি আমার সিকিউরিটিদের ডাক দিই। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাদের নিয়ে যায়।

নাসির উদ্দিন মাহমুদ প্রসঙ্গে হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, নাসিরের বিরুদ্ধে আগে মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ যদি অভিযোগ করে, তবে আমরা সেগুলোও তদন্ত করবো।

তিনি বলেন, পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পরপরই আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে রাতে মামলা না হওয়ার কারণে গোয়েন্দা পুলিশ অ্যাকশনে যাইনি। সাভার থানায় দায়ের করা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত