স্ত্রী-সন্তান ও এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করল এএসআই

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১, ১৫:৫২

সাহস ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় সড়কের পাশে প্রকাশ্যে স্ত্রী-সন্তান ও এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। রবিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজনের পরিচয় হচ্ছে আসমা খাতুন (৩০) ও তার ছেলে রবিন (৬) এবং শাকিল (৩৫) নামের এক যুবক। তাদের সবার বাড়ি কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামে। তবে তারা কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন। শাকিল বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।

হত্যাকারী এএসআইয়ের নাম সুমন। পিস্তলসহ তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি হালসা ক্যাম্পে কর্মরত। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কুষ্টিয়ার সম্পাদক আমানুর আমান বলছেন, সেখানে একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে নিহত তিনজনকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তারা দুইদিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ছয় বছরের ছোট বাচ্চাকে নিয়ে শাকিল দৌড়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাচ্চাটিকে বের করে এনে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে চারটি গুলি করা হয়। এরপর কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা শাকিলকেও গুলি করে। শিশুটির মা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন তাকেও গুলি করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসমাকে মৃত ঘোষণা করেন। অস্ত্রোপচার কক্ষে গুলিবিদ্ধ শাকিল ও শিশু রবিনের মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, এএসআই সুমন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত আছেন। পুলিশের ধারণা, এএসআই সুমনকে দেওয়া পিস্তল দিয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ওই পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসমার মা হাসিনা খাতুন বলেন, আজ সকালে সুমন স্ত্রী-সন্তানকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন তারা। শাকিল বিষয়ে তার ভাষ্য, তার মেয়ের সঙ্গে শাকিল ফোনে কথা বলতেন।

সূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত