সিরাজগঞ্জের বিজয় হত্যা: অভিযোগপত্রে ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২১, ১৮:৪৫

অনলাইন ডেস্ক

সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলার তদন্ত শেষে প্রায় প্রায় সাড়ে নয় মাস পর ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রে দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৩ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুল হক গত ১৩ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বৃহস্পতিবার আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “করোনার কারণে নিয়মিত কোর্ট চালু না থাকায় দাখিল করা চার্জশিটের [অভিযোগপত্র] বিষয়ে এখনও কোনো শুনানি হয়নি, তবে অপেক্ষমান রয়েছে।”

এনামুল হক বিজয় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারি হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। গত বছরের ২৬ জুন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় তাকে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। নয় দিন পর ৫ জুলাই হাসপাতালে তিনি মারা যান।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত দুই সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহম্মেদ জিহাদ ও আল আমিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বিজয়, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান লিয়ন, কামারখন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি পারভেজ রেজা পাভেল ও বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মামুন সেখ ও কামারখন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলামিন বাবু।

এছাড়াও রয়েছেন কামারখন্দ সদরের মাদানী সেলিমের ছেলে রাশেদ, একই উপজেলার বাড়াকান্দি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে জুবায়ের, সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ির শহিদ সেখের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, গয়লা বৌবাজার এলাকার শাহ আলমের ছেলে সাব্বির হোসেন, ইসলামপুরের আনিছুর রহমানের ছেলে সোহাগ ও দিয়ারধানগড়া মহল্লার একজন (১৮)।      


অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় তিন আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক আবুল কালাম।  

বিজয়ের উপর হামলার পর তার বড়ো ভাই রুবেল সেখ বাদী হয়ে ২৭ জুন ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বিজয়, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন, সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার জাহিদুল ইসলাম এবং দিয়ারধানগড়ার শিশু সাগর হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত আছেন। জেলহাজতে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব উদ্দিন জিহাদ।

অন্য আসামিদের কেউ এখনও গ্রেপ্তার হননি।