বজ্রপাতে ছয় জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু; ১০ জন আহত

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২১, ২২:৫৪

সাহস ডেস্ক

বজ্রপাতে ছয় জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জে দু’জন, নেত্রকোনায় পাঁচজন, ফরিদপুরে চারজন, মানিকগঞ্জে দু’জন, সুনামগঞ্জে একজন ও কুমিল্লায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুর থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত হওয়া ঝড় ও বজ্রবৃষ্টিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  

কিশোরগঞ্জে নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিকলীর গুরুই ইউনিয়নের বিয়াতিরচর গ্রামের আরিফুল ইসলাম (১৭) ও বাজিতপুরের (৬০) নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে বিয়াতিরচর হাওর থেকে গরু আনতে যায় আরিফুল। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে আরিফুল গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বজ্রপাতে নেত্রকোনায় তিন উপজেলায় দুই কিশোরসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে খালিয়াজুরীতে একজন, কেন্দুয়ায় দু’জন ও মদন উপজেলায় দু’জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আটজন। বেশ কিছু গবাদিও পশু মারা গেছে।


মদন উপজেলার হাফেজ আতাউর (২০) ও হাফেজ শরিফ (১৮), কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতী গ্রামের ফজলুর রহমান (৫৫), একই উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের আসন খানের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (৪২) এবং খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক ওসেফ মিয়া (৬৫) নিহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  

বজ্রপাতে ফরিদপুরে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বিকেলে ফরিদপুর পৌরসভার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী, সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল,পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী গ্রামে ও মধুখালী উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪৫), একই পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী গ্রামের গোপাল মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা (৪৮), জেলা সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে মারা যান দুলাল খান (৫৮) ও জেলার মধুখালী উপজেলার চাঁদপুর এলাকার কবির শেখ (৪০)।

বজ্রাঘাতে মানিকগঞ্জে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা সদর উপজেলার পৌলি এলাকা ও গিলন্ড গ্রামে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। পৌলি এলাকার আজমত আলী (৫০) ও গিলন্ড গ্রামের আসিফ (১৬) নামের দু'জন মারা যান। এদের মধ্যে আজমতের বাড়ি জেলার ঘিওর উপজেলায়।


জানা যায়, নিহত আজমত আলী পৌলি এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলেন। বিকেল ক্ষেত থেকে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
 

অন্যদিকে, গিলন্ড গ্রামের আসিফ ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আসিফের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বজ্রপাতে আবু তাহের (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হন। বিকেলে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।তাহের দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের তেগাঙ্গা গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে।


জানা যায়, বিকেলে বাজার করার জন্য দোয়ারাবাজার সদরে আসেন তাহের। এ সময় হঠাৎ ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হলে দৌড়ে তিনি পাশেই দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভেতর আশ্রয় নিতে গেলে পথেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বজ্রপাতে আব্দুল মোমেন (৩২) নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  আব্দুল জেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের ছেলে।  


জানা যায়, আকাশে মেঘ দেখে গরু আনার জন্য বাড়ির পাশের জমিতে যান মোমেন। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত