ফেরিঘাটে ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে মানুষ

প্রকাশ : ১০ মে ২০২১, ১৪:২৮

সাহস ডেস্ক

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারিপুরের বাংলাবাজার নৌপথে অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ির সঙ্গে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো যাত্রী। শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজারের দিকে ছেড়ে গেছে ফেরি যমুনা। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ঢেউয়ের মতো যাত্রীরা এসে ফেরিঘাটে আছড়ে পড়ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ।

সোমবার (১০ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ২ নম্বর ঘাট থেকে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজারের দিকে ছেড়ে যায় ফেরি যমুনা। এ নিয়ে এ পর্যন্ত শিমুলিয়া থেকে আজ দুটি ফেরি ছেড়ে গেল।

ফেরিটিতে যাত্রী ছাড়াও পাঁচটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ছিল। সকাল থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফেরিতে নদী পার হওয়া সুযোগ পেয়ে যাত্রীদের উল্লাস করতে দেখা যায়।

এদিকে, ভোর থেকে শিমুলিয়াঘাট থেকে প্রবেশের এক কিলোমিটার দূরে বিজিবি সদস্যদের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ ছাড়া, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে হাইওয়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন পথ দিয়ে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা।

ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটের উথলী পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হলেও যাত্রীদের ঈদে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন বাইপাস রোডে সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছেন।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হিলাল উদ্দিন জানান, রাত থেকে পণ্যবাহী গাড়ি পার করা হয়, যা বন্ধ হয় ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। সকাল সোয়া ৭টায় একটি ফেরি শিমুলিয়াঘাট থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী যানের সঙ্গে পদ্মা পার হয়েছে। এরপর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ডাম্প ফেরি যমুনা ও বেলা সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যায় শাহ পরাণ ফেরি। ঘাট এলাকায় শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, ঘাট এলাকায় যেসব অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি এসে জমা হচ্ছে, তাদেরকে পারের জন্য ফেরি চলছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ঘাটে আসা যাত্রীদেরকে ফেরি থেকে দূরে রাখা যাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেরি ছাড়া হচ্ছে। ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের আটকানো না গেলে ঘাটে ভিড় হবেই।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল আহমেদ জানান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দুটি ফেরি ছেড়ে গেছে। ঘাটে থাকা যাত্রীরাও তাতে উঠে পড়েন। ঘাটে বর্তমানে সাড়ে চার শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন ও কয়েক হাজার যাত্রী রয়েছেন।

শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, যাত্রীরা কোনও বাধা-নিষেধ মানছেন না। ঢাকা থেকে নদীর স্রোতের মতো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ঘাটে এসে ভিড় করছেন। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত