সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে ফেরি

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২১, ১৪:০৬

সাহস ডেস্ক

করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরিঘাটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ঘরমুখী মানুষের ঢল বন্ধ হয়নি।

শনিবার (৮ মে) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘরমুখো মানুষের চাপে পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে দুটি ফেরি কিছু যানবাহন ও কয়েক শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩ ও ২ নম্বর টার্মিনালে শতাধিক মানুষকে নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। প্রবেশপথগুলোতে গাড়ি আটকে দেওয়ায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই তারা পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাবাজার থেকে ৭টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে যায় মানুষ। পরে ফেরিটি এই মানুষ নিয়েই ঘাটের অদূরে নোঙর করে রাখে। কিছু সময় পর ফেরিটি ঘাটে ফিরিয়ে জনতাকে নামিয়ে দেয়।

এ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যাত্রীদের রোষানলে পড়েন ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসারে পরে ফেরি কুঞ্জলতায় যাত্রীবোঝাই করে মাদারীপুর ঘাটে পাঠানো হয়। এ ছাড়া দুপুর ১২টার পরে আরও দুটি ফেরি ঘাট ছেড়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ বলেন, নির্দেশনা মেনে মাঝ পদ্মায় কয়েকটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় শত শত মানুষ পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের পার না করে কীভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের মতো জরুরি সেবা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় ৬টি ছোট ফেরির পাশাপাশি ৪টি বড় ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি দেখে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত