পাটুরিয়া-মাওয়া ঘাটে যাত্রীদের ঢল

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২১, ১২:৪৩

সাহস ডেস্ক

দেশে করোনা বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আজ শনিবার থেকে পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরি ঘাটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। শুক্রবার (৭ মে) রাতে বিআইডব্লিউটিসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিআইডব্লিউটিসি জানায়, শুধু রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে।

ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিতে করে পার হয়ে বাড়ি ফিরছেন। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এ প্রবণতা কয়েকগুণ বেশি দেখা যায়। ফেরিতে মানুষ পারের ছবি রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দিনজুড়ে। এমনকী কোনো কোনো ফেরিতে মানুষের জন্য জায়গা পায়নি গাড়ি। পরিস্থিতি দেখে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় নির্দেশনা দিলো বিআইডব্লিউটিসি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম আজ সকালে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসে। নির্দেশনা মোতাবেক আজ সকাল ছয়টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধ রাখায় উভয় ঘাটে গাড়ি আটকা পড়েছে।

তবে অতি জরুরি রোগী বা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত, তা জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বলেন, ‘স্পষ্ট করে এমন নির্দেশনা না থাকলেও গুরুত্ব বিবেচনা করে অনেক জরুরি গাড়ি জমা থাকলে বিশেষ বিবেচনায় মাঝেমধ্যে ছোট এক-দুটি ফেরি ছাড়তে পারি।’ সন্ধ্যার পর থেকে পণ্যবাহী বা জরুরি গাড়ি পারাপারের নির্দেশনার ব্যাপারে বলেন, ‘এমন কোনো নির্দেশনা নেই। সকাল ছয়টা থেকে ফেরি বন্ধ রাখতে হবে, এটাই জানি। কখন থেকে ফেরি চলাচল করবে বা স্বাভাবিক হবে, এমন সঠিক তথ্য জানা নেই।’

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সকাল ছয়টা থেকে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধের খবর পেয়ে অনেকেই রাতেই ঘাটে এসে পৌঁছেছেন। সারা রাত যত দূর সম্ভব গাড়ি পার করেছি। এখনো পাটুরিয়া প্রান্তে কয়েক শ ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নদী পারের অপেক্ষায় আছে। অন্যান্য গাড়ি তো আছেই। ঘাটে যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এ আশঙ্কায় আমরা ঘাট থেকে সব ফেরি অন্যত্র সরিয়ে রেখেছি। শুধু একটি ছোট ফেরি দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় রোগী, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করছি।’

এদিকে পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এসব যাত্রী ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে ঘাটে আসেন। আজ সকাল নয়টার দিকে সরেজমিনে পাটুরিয়া প্রান্তে দেখা গেছে, ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় নদী পারের যাত্রীরা অবস্থান করছেন। পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় পাঁচটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি আটকা পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত