নড়াইলে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা, অস্ত্র ও গুলি ছিনতাই

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২১, ২১:০৯

ফরহাত খান

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালিয়ে পিস্তল ও গুলি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কুমড়ি গ্রামের দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত লোহাগড়া থানার এএসআই মীর আলমগীর ও এএসআই মিকাইলকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা মীর আলমগীরের মাথা ও বাম হাতের কনুইয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাত রয়েছে। অপর পুলিশ কর্মকর্তা মিকাইল হোসেনকেও লাঠি দিয়ে আহত করা হয়েছে।

লোহাগড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়ার কুমড়ি গ্রামের ওহিদুর সরদার এবং পাশের লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এই সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে ওহিদুর সরদারের লোকজন দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালিয়ে পিস্তল কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কুমড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ সরদারের মেয়ে সোহেলী বলেন, চাচাতো ভাই চরমাউলি গ্রামের বুলু সরদারকে প্রতিপক্ষের লোক মারধর করছে; এমন খবর পেয়ে আমার ভাইয়েরা ঠেকাতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় আমার ভাইদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশের পিস্তল পড়ে যায় এবং আমরা সেটা ফেরত দিই। তবুও পুলিশ আমাদের লোকদের হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমার বাবা নাকে আঘাত পেয়েছেন।

আসাদ সরদার বলেন, আমি ও আমার ভাই ইউসুফ সরদার মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর অত্যাচার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এএসআই মীর আলমগীরের কাছ থেকে আটটি গুলিসহ পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত