শিগগিরই দেশে পৌঁছাবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১৫

ঢাকা ট্রিবিউন

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রুশ প্রতিষ্ঠান অটোম্যাশ। অতি শিগগিরই এটি বাংলাদেশ পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর।

ড. শৌকত বলেন, রিয়াক্টর ও স্টিম জেনারেটর প্রত্যেকটির ওজন ৩৪০ টন ও এদের  দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১২ মিটার ও ১৪ মিটার। এগুলোকে প্রথমে প্লান্টের বিশেষ বার্থে নেয়া হবে এবং সেখান থেকে যন্ত্রাংশগুলোকে জাহাজে করে জলপথে নভোরোসিস্কে নেয়া হবে। পরে সেখান থেকে এগুলো ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

জেএসসি এইএম টেকনোলোজির ডিরেক্টর জেনারেল ইগোর কটভ এই জাহাজীকরণের বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, এই কাজে আমাদের বাংলাদেশি সহযোগীদের যে কোনো জিজ্ঞাস্য এবং অনুরোধের বিষয়ে আমরা অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল যন্ত্রাংশগুলো ঠিক সময়মত পাঠানো হচ্ছে, যা সম্ভব হয়েছে আমাদের কার্যকর মিথস্ক্রিয়া ও আমাদের উপরে ভরসা রাখার জন্য, এ কারণে এই চালান বাংলাদেশের জন্যে একটি ধন্যবাদ। এখন পর্যন্ত, এটি এই আয়তনের শেষ চালান। এটি পারমাণবিক শিল্পে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই সহযোগীতা যে কোনো প্রকারে বজায় থাকবে।

তিনি আরও জানান, রিয়াক্টর প্লান্ট প্রস্তুতি অত্যন্ত উচ্চ প্রযুক্তির একটি কাজ যার দক্ষতা বিশ্বে গুটিকয়েক দেশের আছে। জেএসসি এইম টেকনোলোজি রাশিয়ার একমাত্র কোম্পানি যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টিম জেনারেটিং প্লান্টের সম্পূর্ণ অংশ তৈরি করে। অটোম্যাশ বছরে সর্বোচ্চ ৪ সেট যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে পারে।

প্রসঙ্গত, রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে। রাশিয়ার রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ইউনিট থাকবে। যাতে মোট ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর বসানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত