দুই জান্নাতকেই কন্ট্রাকচ্যুয়াল বিয়ে করেছিলেন মামুনুল

অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিতেই দুই ডিভোর্সিকে বিয়ে করেছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। প্রথম বিয়ে ছাড়া দুই জান্নাতকেই কন্ট্রাকচ্যুয়াল বিয়ে করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সাত দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটা জানিয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশের তেজগাঁ বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, এখন পর্যন্ত মামুনুল প্রথম বিয়ে ছাড়া বাকি দুই বিয়ের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কথিত দুই বিয়ের সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে পুলিশ। একই সঙ্গে রিমান্ডে তাকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার দিতে পারবেন না এমন শর্তেই শরিয়ত মতে দুই জান্নাতকে বিয়ে করেছিলেন মামুনুল। প্রথম স্ত্রী পরবর্তী বিয়ে মানতে পারবেন না বলেই বিষয়টি গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল জানান, রিসোর্টকাণ্ডে আগে এসব বিয়ের কথা স্বীকার করলে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বা ঝামেলা করতেন বলে ধারণা। এ জন্য তিনি বিষয়টি প্রথমে গোপন করেছিলেন। ব্যস্ততার কারণে জান্নাত আরার সঙ্গে তার ৯ মাস ধরে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছিল না। জান্নাত তাকে সময় দেওয়ার জন্য বারবার বলছিল। তাই তিনি জান্নাতকে নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টের নিয়ে গিয়েছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুলের দাবি করেছেন, দুই বছর ধরে তিনি জান্নাত আরার ভরণপোষণ ছাড়াও ব্যবসা করার জন্য মূলধন দিয়েছেন এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্বিতীয় জান্নাত অর্থাৎ জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঙ্গে তার স্বামী সাইদুর রহমানের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর তারও দায়িত্ব নেন তিনি। বিয়ে ছাড়াও তার চাকরির ব্যবস্থাও করে দেন মামুনুল।