লকডাউনে থাকছে যেসব বিধিনিষেধ

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৪৭

সাহস ডেস্ক

২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে পরবর্তী লকডাউন চলবে ২২ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। এসময় চলমান লকডাউনের সব শর্ত বলবৎ থাকবে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এর আগে, ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। ওই নির্দেশনায় বলা হয়-

১. সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

২. সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ-নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবে তবে বিমান সমুদ্র ও স্থলবন্দর ও তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এ নিষেধাজ্ঞা আওতাবহির্ভূত থাকবে।

৩. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৪. সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, বিমান) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবা এ আদেশের বাইরে থাকবে।

৫. শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।

৬. অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ ও পণ্য, চিকিৎসা, লাশ সৎকার) ব্যতিত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।

৭. খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা- থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য খোলা রাখা যাবে।

৮. শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

৯. কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের বাজারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

১০. বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

১১. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবির নামাজের জামাত বিষয়ে ধর্মমন্ত্রণালয় নির্দেশনা দেবে, তা মানতে হবে।

১২. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এ সমস্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাতে সহায়তা করবে।

১৩. আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি), খাদ্য শষ্য ও খাদ্য দ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা (কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান), বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহ, টেলিফোন, ইন্টারনেট সেবা, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত