কক্সবাজারে সৈকতে ভেসে এলো আরেকটি মৃত তিমি (ভিডিও)

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৪০

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারের দরিয়ানগরের সমুদ্রসৈকতে আজ সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে আরো একটি মৃত তিমি। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা মৃত তিমিটির ওজন দুই থেকে আড়াই টন হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা।

শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোর ৯ টায় এটিকে সৈকতের বালিতে আটকে থাকতে দেখা যায়। এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরের জোয়ারের সঙ্গে ভেসে আসে বিশাল আকৃতির একটি মৃত নীল তিমি। এটি ওইদিন রাত ১টায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

সৈকতে আরেকটি বড় আকারের মৃত তিমি ভেসে আসার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজ। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে সৈকতের হিমছড়ি এলাকায় আড়াই টন ওজনের যে তিমি মাছটি ভেসে এসেছিল, ঠিক তার দক্ষিণে নতুন তিমিটি ভেসে এসেছে।  দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি সরে গেলে পুরো তিমিটি দৃশ্যমান হবে। তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় জেলে কামাল উদ্দিন (৫০) জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় তিনি দেখতে পান বিশাল একটি তিমি ভেসে আসছে। তিমিটি দরিয়ানগর সৈকতে ভিড়েছে। আগেরটি ভিড়েছে উত্তর দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হিমছড়ি সৈকতে।

গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) যে স্থান ভেসে আসা মৃত তিমিটি পাওয়া যায় তা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দক্ষিণে ক্ষুদ্র তিমির মরদেহটি পাওয়া যায়। ২৫-৩০ ফুট লম্বা এ তিমিটিও অর্ধগলিত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা।

রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা জানান, শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ভেসে আসা মৃত তিমির দেহাবশেষ সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে আবার ভেসে যাওয়া থেকে দেহটি আটকাতে বন বিভাগের শতাধিক কর্মী চেষ্টা চালায়। এসময় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মী এবং উৎসুক জনতাও এতে সামিল হয়। এরপর ভেটেনারি সার্জনগণ ময়নাতদন্তের পর এক্সকেভেটরের সাহায্যে মরদেহটি পুঁতে ফেলা হয়।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আরো বলেন, শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোর৮ টায় একই সৈকতের ভিন্ন পয়েন্টে আরো একটি মৃত তিমির দেহাবশেষ বালিয়াড়িতে উঠে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, এটিও আগের তিমিটির মতো মরে ভাসতে ভাসতে তীরে উঠে এসেছে। দুর্গন্ধ বেশি ছড়ানোর আগেই গতকালের মতো এটিও পুঁতে ফেলার উদ্যোগ চলছে।

ধারণা করা হচ্ছে, তিমি দুটি একই প্রজাতির। গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় তিমির মৃত্যু হতে পারে। অথবা বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে ফেলার কারণেও তিমির মৃত্যু হতে পারে। এই তিমির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা না গেলেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।