ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

লালবাগ, পল্টন, মোহাম্মদপুর, নারায়ণগঞ্জে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২১, ১৩:১৮ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১, ১৫:০৬

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর লালবাগ, পল্টন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, মোহাম্মদপুর, বসিলা, সাত মসজিদ এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জস্থ সাইনবোর্ড এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জস্থ সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা হেফাজতের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তারা সরে না যাওয়ায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের শুরু হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। গুলিব্দ্ধি যুবকের নাম শাকিল (৩২)। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ফজরের নামাজের পর থেকে মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের আটটি স্পটে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নেয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকবার হেফাজত কর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললেও হেফাজত নেতাকর্মীরা মহাসড়ক ছেড়ে যাননি।

একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হন।

ফজরের নামাজের পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর পশ্চিম ঢাল, শিমরাইল চৌরাস্তা, ইউটার্ন, মাদানীনগর মাদ্রাসা, দশতলা ভবন এলাকা, মৌচাক, সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল বন্ধ যায়।

এদিকে পল্টন এলাকায় হরতালের সমর্থনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে। হরতালের সমর্থনে হাতে লাঠি-সোটা নিয়ে মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলাম। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মিছিল বের করে তারা জিপিও মোড়ের দিকে যায়। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি মিছিল বিপরীত দিক থেকে আসলে তারা মুখোমুখি হয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর লালবাগ এলাকায় হরতাল সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা সকাল ৭টা থেকে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে হরতাল সমর্থকরা। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বসিলা ব্রিজ এলাকাও প্রায় ২ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে হরতাল সমর্থকরা।

মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সাত মসজিদ এলাকা অবরোধের চেষ্টা করলে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।