কোম্পানীগঞ্জ আ’লীগ সভাপতিকে পেটালেন কাদের মির্জা!

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২১, ০৩:০১

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে (৭০) পিটিয়েছেন বসুরহাট পৌসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেনের অনুসারীরা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এতে খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন।

কাদের মির্জার ভাগিনা ও খিজির হায়াত গ্রুপের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধীতা করতেন খিজির হায়াত খান। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা।

খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলাম। তখন মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করেন ও মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা তার শতাধিক সমর্থকসহ কলার ধরে রাস্তার নিয়ে এসে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। আমাকে এমন ভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার বা চোর। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করেননি।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনার জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাদের মির্জা ও খিজির হায়াত খান-মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়ে মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত কোনো কথাবার্তা ছাড়াই ৬০-৭০ জন দলীয় কর্মী নিয়ে কার্যালয়ের পাশের একটি কক্ষে গিয়ে বসেন। তখন খবর পেয়ে কাদের মির্জা, তার ভাই শাহদাত ও ছেলে তাসিক মির্জা কয়েক শ অনুসারী নিয়ে সেখানে হামলা চালান। তারা এ সময় কক্ষ থেকে খিজির হায়াতকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসেন।

তবে মির্জা কাদেরের ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খিজির হায়াত খান নিজে তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত