লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু স্বাভাবিক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২১, ১৮:০৩

সাহস ডেস্ক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে ‘ন্যাচারাল ডেথ (স্বাভাবিক মৃত্যু)’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে চূড়ান্তভাবে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুশতাক আহমেদ কারাগারে অন্তরীণ হন। তিনি কারাগারে ইন্তেকাল করেন, সেটা আপনারা সবই শুনেছেন। প্রশ্ন আসছে, তিনি কারাগারে কীভাবে মৃত্যুবরণ করলেন?

তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলাম। গাজীপুরের ডিসি, তিনিও একটি কমিটি করেছিলেন, আইজি প্রিজন তিনিও তাৎক্ষণিকভাবে একটি কমিটি করেছিলেন। সবগুলো কমিটির অভিমত এক রকম। তারা ভিডিও ফুটেজ ও কারাগারে যারা তার সঙ্গে অন্তরীণ ছিলেন, তার রুমে যে কয়জন ছিলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক যারা ছিলেন, হাসপাতালে যখন নিয়ে গেছেন- তাদের সবার অভিমত নিয়ে তারা যে রিপোর্টটি প্রদান করেছেন সেই রিপোর্টে বলেছেন, এটা একটা ন্যাচারাল ডেথ হয়েছে। ন্যাচারাল ডেথ মানে অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। সেটাই তারা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবগুলো রিপোর্টেই এখন পর্যন্ত এইটুকুই পেয়েছি। আমরা ফাইনালি পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের পর আরও বিস্তারিত জানতে পারব। সুরতহাল রিপোর্টেও মুশতাকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এখন পোস্টমর্টেমের রিপোর্টটি আসলেই আমরা চূড়ান্তভাবে জানতে পারব।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরেই মুশতাক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কি-না, যদি থাকে তবে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এছাড়া গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের পক্ষ থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সবগুলো কমিটিই ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের ৬ মে ঢাকা জেলে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে মুসতাক কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত