মুসতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৩৮

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি লেখক মুসতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় রাতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বামপন্থী কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে বের হওয়া এ মিছিল থেকে তার মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বের হওয়া মিছিলটি শাহবাগ ও পরীবাগ মোড় ঘুরে আবার সেখানে ফিরে আসে।

এরপর রাত একটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুসতাক আহমেদ। এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মুসতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে  কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে গত ৫ মে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করেছিল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, কার্টুনিস্ট কিশোর তার 'আমি কিশোর' নামের ফেসবুক  অ্যাকাউন্টে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন৷ আর মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেন৷

র‌্যাব-৩-এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের করা এই মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠন দিদারুল ভূইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ পরে এ দুজন জামিনে মুক্তি পান৷ তবে মুশতাক ও কিশোরের পক্ষে বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করা হলেও তা আদালতে নামঞ্জুর হয়৷

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত