‘একটা লোকের মৃত্যু হলে ওবায়দুল কাদের আপনাকে জবাব দিতে হবে’

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৫০

সাহস ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লাইভে আসেন।

লাইভে কাদের মির্জা বলেন, আজকে একরামুল করিম চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনী, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার চাপ্রাশিরহাটের চরফকিরার মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশের সহযোগিতায়। পুলিশের সামনে থেকে আমার লোকদের ওপর গুলি করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ জনের মতো আহত হয়েছে। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই এলাকার কি অভিভাবক নাই? আজকে যদি একটা মায়ের বুক খালি হয় এটার জন্য ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এবং প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে।

বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‌নোয়াখালীর এসপি, ডিসি এদের সহযোগিতায় আজকে একরাম চৌধুরী তার বাড়িতে মিটিং করে এখানে গুন্ডা এবং সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারী পাঠিয়েছে। আমিও আছি প্রয়োজনে মৃত্যুবরণ করব, এখান থেকে যাব না।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের আপনাকে জবাব দিতে হবে আমার এলাকার একটা লোকের যদি মৃত্যু হয়। সাহাব উদ্দিন আপনাকে জবাব দিতে হবে। প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে আজকে কেন অস্ত্রের ঝনঝনানি।

এর আগে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জনের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, বার্তাবাজারের অনলাইন পোর্টালের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।

আহতদের মধ্যে চরফকিরা ইউনিয়নের মো. কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিযনের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪) ও মারুফ (২৫) নাম পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বিকাল সাড়ে ৪টায় তার সমর্থকদের চাপরাশিরহাট দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু তার আগে চরফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ওই কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। নির্ধারিত সময়ে বাদলের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে আসলে লিটনের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বার্তা বাজার’র প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত