কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ, আহত অর্ধশত

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৩০

সাহস ডেস্ক
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জনের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, বার্তাবাজারের অনলাইন পোর্টালের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।

আহতদের মধ্যে চরফকিরা ইউনিয়নের মো. কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিযনের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪) ও মারুফ (২৫) নাম পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বিকাল সাড়ে ৪টায় তার সমর্থকদের চাপরাশিরহাট দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু তার আগে চরফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ওই কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। নির্ধারিত সময়ে বাদলের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে আসলে লিটনের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বার্তা বাজার’র প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭-৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।

কাদের মির্জা জানান, হামলায় তার অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তার কোনো নেতা-কর্মী মারা গেলে তার দায়-দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নিজাম হাজারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিতে হবে।

পুলিশের সহযোগিতায় তার নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন কাদের মির্জা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত