ডিসি, এসপি, ওসির প্রত্যাহার চেয়ে কাদের মির্জার থানা ঘেরাও

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:০৭ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:০৯

অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা এবং তার অনুসারীরা।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। রাত পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে কাদের মির্জা থানার ফটকে অবস্থান করছিলেন।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনিকে প্রত্যাহার এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সবুজ কাদের মির্জার কঠোর সমালোচনা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সবুজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন আবদুল কাদের মির্জা। সেখানে বলেন, ৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেউ যদি আমি চাঁদাবাজি করেছি প্রমাণ করতে পারে, নিজ জিব্বা কেটে রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।

তার ছেলে তাশিক মির্জাকে যুবলীগ নেতা মিন্টু হত্যাকাণ্ডে জড়িত করার প্রতিবাদে তিনি বলেন, এমন ছেলে আমি জন্ম দেইনি। সোমবারও মিন্টুর বাড়িতে আমি খেয়ে এসেছি। আমার ছেলে কোন স্বভাবের তা আপনারা সবাই অবগত রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ আমার নিরীহ ছেলেকে অপরাজনীতির হোতারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে।