২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা: ১৭ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২৫

সাহস ডেস্ক
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

সাতক্ষীরার পাঁচ স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় হওয়া পাঁচটি মামলার ১৯ আসামির মধ্যে ১৭ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পুলিশের দায়েরকৃত ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলায় ১৪ আসামিকে সর্বোচ্চ ১৩ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ড পাওয়া ১৭ আসামির মধ্যে আট জনকে ১৩ বছর করে ও বাকি নয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনিরুজ্জামান, নুর আলী, গিয়াস উদ্দিন মুন্না, ইসমাইল ওরফে হাবিবুর রহমান, বেল্লাল হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ, মোন্তাজ ওরফে মমতাজ, মাহবুবুর রহমান, রাকিব হাসান, নাইম, ফকর উদ্দিন, আসাদুজ্জামান, মনোয়ার হোসেন, আসাদুর ও আনিসুর রহমান খোকন।

খালাস পেয়েছেন- আবুল খায়ের। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন নাসির উদ্দিন দফাদার।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিনই সাতক্ষীরার পাঁচ স্থানেও বোমা হামলা চালানো হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সাতক্ষীরার পাঁচটি মামলার রায় দেওয়া হলো। এ ছাড়াও, ২০০৭ সালে সাতক্ষীরা থানার তৎকালীন ওসি গোলম মোহাম্মদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় ২৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার সব আসামিকে আজ আদালত বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী শহরতলীর বাকালের নাসিরুদ্দিন দফাদারকে প্রত্যক্ষদর্শী বাকাল ইসলামপুর চরের পকেটমার রওশানের বিবরণ মতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২০০৫ সালে পাঁচটি মামলা দায়ের করে।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি গোলাম মোহাম্মদ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ২০১১ সালের জুনে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার হওয়া সব আসামিই সাতক্ষীরার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাকাল ইসলামপুরের নাসিরুদ্দিন দফাদার ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যান।

আসামিদের মধ্যে শায়খ রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে এসব মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয় জানিয়ে অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ আরও বলেন, ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ সিআইডি এসব মামলায় ১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৭ সালে দায়ের করা মামলাটিতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে এসব মামলার বিচারকাজ শুরু করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত