কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:১৮ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৪৭

অনলাইন ডেস্ক
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদকে কারাগারে নারী সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগে সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে কারাগারে নারীর সময় কাটানোর ঘটনায় আমরা সিনিয়র জেল সুপার, জেলারসহ মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করেছি। এর আগে তিনজন ও আজকে দুইজনকে সদরদপ্তরের সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো। তাদের কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বৃস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লা ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

এছাড়া একই ঘটনায় ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

ওই ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এর বন্দি হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সঙ্গে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২টা ২২ মিনিটে সুপারের রুমে প্রবেশ করেন। সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ১টা ০৪ মিনিটে তুষারকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে একটি কক্ষে নেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটায় ওই নারীর সঙ্গে।