মার্চ-এপ্রিলে ৪১ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:২০

সাহস ডেস্ক

আগামী মার্চ-এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দেয়া তালিকা থেকে ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার। এই তালিকা ধরে আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চীন সরকারের দেওয়া চাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং চীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সব বিষয়ে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার রিয়ালাইজ করেছে তাদের ফিরিয়ে নেয়া দরকার। বাংলাদেশও ফিল করে তারা (রোহিঙ্গা) সম্মানের সঙ্গে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাক। চীন সরকারও চায় বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের ফিরে যাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের গ্রামভিত্তিক রিপ্যাট্রিয়েশনটা চায়। কিন্তু মিয়ানমার সরকার চায় বাংলাদেশ সরকার যে তালিকা দিয়েছে এবং যে তালিকাটা তারা ভেরিফাইড হয়েছে সেই তালিকা অনুযায়ী ফেরত নিতে চায়। এই জায়গায় গতকালের মিটিং শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি, পরবর্তী মিটিংয়ে আরও অ্যামিকেবল সমাধন আসবে। তিনপক্ষই আশা করছে, যে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আমরা সেই ভালো ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।

এনামুর রহমান বলেন, তাদের শতভাব ইচ্ছা- বাংলাদেশের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা বজায় রাখবে। সব সমস্যা সমাধানের পাশে থাকবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে তারা মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবারের সভা থেকে যে বক্তব্য পেয়েছি তাতে মিয়ানমারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যে তারা নিয়ে যাবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৮ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাড়ে পাঁচ হাজাররের তালিকা পাঠালে মিয়ানমার সরকার ভেরিফিকেশন করেছে ৪১ হাজার ৭১৯ জন, তাদের নেওয়ার জন্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যেমন চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, একইভাবে মিয়ানমারের সঙ্গেও তাদের (চীনের) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মিয়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা মিয়ানমার সরকারকে প্রভাবিত করতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত