রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই

কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় দুটি ঘর, কমিউনিটি সেন্টারসহ রোহিঙ্গাদের পাঁচ শতাধিক ঝুপড়ী ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ক্যাম্পের লোকজন প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ক্যাম্পের ৫ শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়েছে বলে জানান নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিভাবে তা ঘটলো এখনো জানা যায়নি। আগুনে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গাদের ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস টেকনাফ স্টেশন অফিসার মুকুল কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সাভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানান, ‘বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টায় শরণার্থী ক্যাম্পে আকস্মিক আগুন লাগে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। এরই মধ্যে ক্যাম্পটির অন্তত ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা বসত বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।’

তিনি আরও জানান, ‘আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। একই সাথে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে কাজ চলছে।’

এদিকে ক্যাম্পের ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা জানান, ঘর পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।