তাপস মেয়র থাকার যোগ্য নন: সাঈদ খোকন

মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে তাপস মেয়র থাকার যোগ্য নন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে এসে একথা বলেন তিনি।

মেয়র তাপস সিটি করপোরেশনের শতশত কোটি টাকা মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন অভিযোগ করে সাঈদ খোকন বলেন, সেসব টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন।

তিনি আরও বলেন, অর্থের অভাবে করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

সাঈদ খোকন বলেন, তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব- রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। তারপর চুনোপুটির দিকে দৃষ্টি দিন।

তিনি বলেন, ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সিটি করপোরেশন যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে, সেটা নিয়ে আমি আগেও বলেছি এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। কারণ মহামান্য আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে, ব্যবসায়ীদের বৈধকরণের আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা করপোরেশনের বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আলোচিত মার্কেটগুলোর নকশা সংশোধন ও বকেয়া ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ নকশা সংশোধন করে এবং রাজস্ব বিভাগ সাত-আট বছরের বকেয়া ভাড়া আদায় করে ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি প্রদান করে।

সাবেক মেয়র এই উচ্ছেদকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা আশ্চর্যের সাথে লক্ষ করলাম, বিনানোটিশে দক্ষিণ সিটি অবৈধ উচ্ছেদের মাধ্যমে বুলডোজার দিয়ে হাজার হাজার বৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দিল এবং ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার দোকান মালিক ও কর্মচারী সপরিবারে পথে বসে গেল। আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র হিসেবে এই অবৈধ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।