সীমান্ত হত্যা: ফেলানীর বাড়িতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:০২

সাহস ডেস্ক
ফেলানীর বাড়িতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ফেলানী খাতুনের বাড়ির উঠানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ফেলানী নিহত হন।

বিগত ১০ বছরেও ফেলানী হত্যার বিচার পাওয়া যায়নি, বরং সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। আর দুই দশকে সীমান্তে ১ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। এ চলমান সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং ফেলানীর স্মরণে আলোকচিত্র সাংবাদিক পারভেজ আহমেদ রনি আলোকচিত্র প্রদর্শনীটির আয়োজন করেন। 

প্রদর্শনীতে ২০১২ থেকে দেশের বিভিন্ন সীমান্তের সহিংসতার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তার মরদেহ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফের বিশেষ আদালতে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পান অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ।

পরে এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহযোগিতায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। এরপর কয়েক দফা ফেলানী হত্যার বিচার কার্য অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ ও ২০২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি।

বুধবার ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে অনেক ঘুরেছি, মানবাধিকার সংস্থাসহ বহুজনের কাছে গিয়েছি। কোনো ফল পাইনি। মেয়ে আমার চলে যাওয়ার প্রায় ১০ বছর হতে যাচ্ছে। আজও তার বিচার পেলাম না। বার বার বিচারের তারিখ বদলায়। তাহলে বিচার পাব কীভাবে?’

নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের নূর ইসলাম পরিবার নিয়ে থাকতেন ভারতের দিল্লিতে। মেয়ে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদেশে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের ওপর মই বেয়ে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ফেলানীর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত