মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ চারজন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ যাত্রী। আগুনে মাইক্রোবাসটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের বারইগ্রামের মৃত কুনু মিয়ার ছেলে রাজন আহমদ (২৭), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ও মাইক্রোবাস চালক সুনাম আহমদ (২৬) এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়ার শিশু পুত্র হাসান আহমদ (৮)। নিহত পথচারীর পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ট্রাকের পেছনে একটি নোহা মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের ভেতরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন  নিহত হন। আহত হন আরও চারজন যাত্রী। মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কলোনিতে গিয়ে পড়ে। এতে মারা যায় শিশু হাসান।

নিহতদের মধ্যে হাসান আহমদ দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী একটি কলোনির বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের সিল্ডিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সৃষ্ট আগুন উড়ে গিয়ে ওই শিশুর ওপর পড়ে। শিশুটি তখন ঘরের বাইরে ছিলে। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, নিহতের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে মালবাহী ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (নোহা) ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের ভেতরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। আগুনে মাইক্রোবাসটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।

জানা গেছে, এ ঘটনাটি তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হতাহতদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।