ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার খুব পাশাপাশি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫৮

সাহস ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে। তবে ২০০৭ সালে যেটা হয়েছে, ক্ষমতা ছাড়াও সবার আগে কিন্তু আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কাজেই সেটা আমরা জানি, রাজনীতি করতে গেলে এটা করতেই হবে। এ জন্য আমরা কারাগারগুলো উন্নত করে যাচ্ছি।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাশিমপুর কারাগারের নারীদের জন্য পৃথক কারাগার ও এলপি গ্যাস স্টেশনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা অপরাধে যারা জেলে যায় তাদের পরিবার অনেক কষ্ট ভোগ করে থাকে। তাদের কথা বিবেচনা করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলে থাকা কয়েদিদের বিভিন্ন উৎপাদনখাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। যার প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক কয়েদিদের দেয়া হচ্ছে কিংবা জমা রাখা হচ্ছে। সেই টাকা তারা নিজের কাছেও রাখতে পারেন আবার পরিবারের কাছে পাঠাতে পারেন।

কারাগারগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কেরানীগঞ্জের কারাগারেও ইতোমধ্যে কোর্টরুম তৈরি করা হয়েছে। এভাবে জেলা কারাগারগুলোতেও কোর্টরুম চালু করা হবে। অনলাইনের মাধ্যমে মামলাও পরিচালিত হবে। এখন করোনার সময় সরাসরি কোর্ট চালানো মুশকিল। তাই আমরা ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কারাগারে শুধু অপরাধীদের বন্দি করে রাখা নয়, সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করা, তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের কিছু শিক্ষা দেওয়া; যাতে তারা বের হয়ে ভবিষ্যতে একই অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারে যারা গ্রেপ্তার হয়ে যায়, তাদের পরিবারগুলো কষ্ট পায়। তারা অপরাধ করে অপরাধী। কিন্তু তারপরও তাদের পরিবারগুলো কষ্ট পায়। এতগুলো মানুষ বেকার বসে থাকবে কেন? সেই জন্য সেখানে তাদের ট্রেনিং করানো, কিছু পণ্য উৎপাদন করানো এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাজারজাত করার ফলে যে টাকা আসবে খরচ রেখে (লাভের ৫০ ভাগ) বাকিটা যে উৎপাদন করবে সে পাবে। সে তা নিজে জমাও করতে পারবে, কিছু অংশ পরিবারকেও পাঠাতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা কারাগারে কতগুলো পরিবর্তন এনেছি। আমাদের কারারক্ষীদের কোনও ট্রেনিং ছিল না, তাদের নিরাপত্তারও কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি তাদের থাকারও ভালো ব্যবস্থা ছিল না। নতুন কারাগারে সেই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে। আমরা কারাগারগুলোর উন্নতি করে যাচ্ছি।

সরকার প্রধান বলেন, নাজিমউদ্দিন রোডের জেলখানা কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করায় নারী কয়েদিদের গাজীপুরের কাশিমপুরে রাখা হতো। এখন কেরানীগঞ্জে নারীদের জন্যও পৃথক কারাগার স্থাপিত হয়েছে। তাই নারী কয়েদিদের নতুন কারাগারে নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত