হাতিয়ায় ট্রলারডুবি আরো দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার

এখনো নিখোঁজ ৫জন

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৫৫

তাজুল ইসলাম তছলিম

বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহা আক্তার (২) ও জাকিয়া বেগম (৫৫) নামে আরো দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড।

শনিবার সকালে লক্ষীপুরের রামগতি চরগজারিয়া মেঘনা নদী থেকে নিহা ও ভোলার মনপুরার রামনেওয়াজ মেঘনা নদী থেকে জাকিয়া বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার বিকালে হাতিয়ার টাংকির ঘাট মেঘনা নদী থেকে হাসান (৭) নামে আরো এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।  এই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৫জন।

কোষ্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে: তাহসিন রহমান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় কোষ্টগার্ডের টিম নদীতে টহল দিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে প্রথমে গজারিয়ার চর থেকে নিহা আক্তার ও মনপুরার রামনেওয়াজ থেকে জাকিয়া বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  মৃত নিহা হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের থানার হাট এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের কন্য। মৃত জাকিয়া বেগম একই এলাকার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী বলে নিখোঁজদের স্বজনরা নিশ্চিত করেছে।  জাকিয়া ও নিহা বরযাত্রীবাহি ট্রলার দূর্ঘটনায়  নিখোঁজ হওয়া ৮জনের মধ্যে দুইজন। 

উল্লেখ্য ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাতিয়ার চানন্দী ঘাট থেকে বরের বাড়ী ঢালচরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি ঢালচরের কাচাকাছি এলে প্রবল স্রোতে নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এই ঘটনায়  কনে তাছলিমাসহ ৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এক নারী ও৭ শিশুসহ ৮জন নিখোঁজ হয়।  এসময় ট্রলারের মধ্যে নারী পুরুষ শিশু সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক ছিল বলে জানানযায়। 

কনের পিতা ইব্রাহীম সওদাগর জানায় তার মেয়ে তাছলিমার সাথে হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মেস্তুরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিবাহ হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বরের বাড়ীতে নেওয়ার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।