দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: হাইকোর্ট

দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারীরা যত বড় রুই-কাতল হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ ডিসেম্বর সময় রেখেছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানিতে আদালত বলেন, যারা দুর্নীতিবাজ, যারা অর্থ পাচার করে তাদের ছাড় দিলে চলবে না। এসময় খুরশীদ আলম খান বলেন, অবশ্যই।

আদালত বলেন, তারা যত বড় রুই-কাতল হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের সবার উচিত হলো দেশের প্রোপার্টি রক্ষা করা। এটাতো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। ২১ অনুচ্ছেদ অনুসারে। কাজেই শুধু কোর্ট করবে অন্যরা করবে তাতো না, সবাইকে করতে হবে।

আদালত আরও বলেন, তারা যাতে আইনের জালে ধরা পড়ে সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। জাতির জনক স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশকে সোনার বাংলা গড়ার। কাজেই ওনার যে স্বপ্ন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

১৮ নভেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ অনুসারে দুদক বুধবার একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেখানে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আবেদন করা হয়েছে বিচারিক আদালতে।