বিজয় দিবসে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করতে চাইলেও জানাতে হবে পুলিশকে

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৫১

সাহস ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠান করতে চাইলে যে কেউ করতে পারবে। কিন্তু সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে (পুলিশ) আগে জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবসটি পালন করতে।

মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস ২০২০ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নকল্পে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সারা বিশ্ব আতঙ্কিত। তারপরও বাংলাদেশের জনগণ কোনো কিছু হলেই রাস্তায় বেরিয়ে আসে, এটা আমাদের স্বভাব। আমরা শত চেষ্টা করেও তাদের ঘরমুখি করতে পারছি না। সেজন্য আমাদের আশঙ্কা মহান বিজয় দিবসের দিন লোকজন ঘরে থাকবেন না। লোকজন বেরিয়ে আসবে। তখন তাদের কীভাবে নিরাপত্তা দেবো, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে সেগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন। কিন্তু সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে জানাতে হবে। যাতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

‘কোথায় (বিজয় দিবসের ঘরোয়া অনুষ্ঠান) করছেন, কীভাবে করছেন, কতজনের আয়োজন! কারা কারা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন! অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে নাশকতা না করতে পারে সে জন্য দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম...গোয়েন্দারা তাদের মতামত দিয়েছেন। গোয়েন্দাদের মতামত মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবেন। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমানাগমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালীন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকবার যেভাবে নেয়া হয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিক সেভাবেই থাকবে।

কূটনৈতিকদের যারা স্মৃতিসৌধে যাবেন প্রতিবারের মতো তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার সব রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত