কুষ্টিয়ায় ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে ৮ পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১১:৫৬

সাহস ডেস্ক

ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়ায় কর্মরত আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে দু'জন উপপরিদর্শক (এসআই), দু'জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং বাকিরা কনস্টেবল পর্যায়ের। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টসহ দু'জনের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। 

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত যোগ দেওয়ার পর মাদকের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের পাশাপাশি পুলিশে কারা কারা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত সেটাও খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।

এরপর পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশে পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেন পুলিশ সুপার। তিনি সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন।

সূত্র জানায়, পরীক্ষায় এসব সদস্যদের নিয়মিত মাদক সেবনের রিপোর্ট আসে। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে নয়জনই মাদক সেবন করতেন বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়। পরীক্ষায় দু'জন এসআই, দু'জন এএসআই মাদক সেবনে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া এক এসআইর কাছে মাদক পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট রয়েছেন। মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্য বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। 

মাদকের বিষয়টি ধরা পড়ায় বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি প্রথমদিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয় তাদের। এরমধ্যে এক এসআইকে রাঙামাটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর অভিযুক্ত সার্জেন্টকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রাখা হয়। মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়ার পর অন্য সবাইকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের আটজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও চিরতরে মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠাতে চাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কোনো মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত