আজ ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক , আলোচনা হবে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৪৩

সাহস ডেস্ক

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ভুক্ত (ওআইসি) ৫৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনের বৈঠক শুরু হবে আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর)। নাইজারের রাজধানী নিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডাগুলোর মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুও রয়েছে।

ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারির দফতর ২৭ থেকে ২৮ নভেম্বর ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের ৪৭ তম অধিবেশনের আয়োজন করেছে। ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ আল-ওথাইমিন এক বিবৃতিতে বলেন, কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস্ (সিএফএম) আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) চলমান রোহিঙ্গা মামলার জন্য তহবিল সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। এছাড়া মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য বিষয় যেমন- ফিলিস্তিন, সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ, ইসলামোফোবিয়া এবং ধর্মীয় মানহানির বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দুই দিন ধরে রাজনৈতিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়, গণমাধ্যম এবং ওআইসির প্ল্যান অব একশন-২০২৫ এর বিষয়ে আলোচনা করবেন।

ওআইসি সচিবালয় জানায়, অ-সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মুসলিম সংখ্যালঘু ও সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি এবং সেই সঙ্গে সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংলাপের প্রচারণা এবং অন্যান্য বিষয় কাউন্সিলের সামনে আসতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ওআইসিসি রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। জাতিসংঘে ওআইসির সব সদস্যই এই বিষয়ে আমাদের জোরালো সমর্থন করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গা সংকট মূলত সিএফএম এজেন্ডায় বড় দাগে আধিপত্য বিস্তার করবে যা মিয়ানমারের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিএফএম-এ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নাইজারে যাওয়ার একদিন আগে ঢাকায় কোভিড পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী, যিনি ওআইসি-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, তিনি সিএফএমে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইও) ডেস্কের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদও রয়েছেন।

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার আইনি লড়াইয়ে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিএফএম-এ তহবিল সংগ্রহের প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ড. মোমেন জানান, ওআইসির সদস্য গাম্বিয়াও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে স্বেচ্ছায় আইসিজে গেছে এবং মামলা লড়াইয়ের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। ঢাকা নিজেই গাম্বিয়াকে এই মামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, আইসিজে-তে মামলা পরিচালনার জন্য গাম্বিয়াকে সমর্থন করার জন্য আমরা আমাদের তহবিল ওআইসির কাছে বিতরণ করবো। কারণ এই মামলার জন্য আইনজীবী নিয়োগের পর তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢাকা এ ব্যাপারে জোরালো আবেদন জানাবে।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অধিকাংশই রাখাইনে সামরিক অভিযানের পর ২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্ট থেকে সীমান্ত পারি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সূত্র: বাসস।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত