কর্মবিরতিতে সাড়ে ৩শ’ স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত ১৪ লাখ

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫২ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫৪

অনলাইন ডেস্ক

বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে পিরোজপুরে ৩৫০ জন স্বাস্থ্য সহকারী কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে জেলার প্রায় ১৪ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জেলার সাতটি উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে চলছে স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতি। এতে জেলার ১৫ স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৯ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ২৭৮ জন স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।  
জেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলায় মোট লোক সংখ্যা ১১ লাখ ১৩ হাজার হলেও গত ৯ বছরে এ সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের পিরোজপুর জেলার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের (স্বাস্থ্য সহকারী) বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক আমাদের দাবি মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। সে অনুযায়ী আমারা এখানো কোনো সুবিধা পাইনি। আমাদের এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চাই।

জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশি গ্রামের জহিরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতির কারণে আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
 
জেলার নাজিরপুর উপজেলার হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসাসিয়েশনের সভাপতি  জয়শ্রী মিস্ত্রী জানান, দেশের সব মহামারিকালে আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। এমনকি দেশে করোনা শুরু হলে নিজেদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির কথা ভুলে গিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গার্মেন্টস কর্মী, ঢাকা থেকে আসাসহ বিদেশ ফেরতদের তালিকা তৈরি করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি নিয়মিত ইপিআই কর্মসূচিসহ অন্য কার্যক্রম চালিয়ে গেছি।